জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) পার্টির মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় তিন বছর মেয়াদী কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দলের মহাসচিব মোমিনুল আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি ঘোষনার বিষটি নিশ্চিত করেছেন।
গাংনী উপজেলা কমিটিতে মহিদুল ইসলাম উজ্জল কে সভাপতি এবং আহসান হাবিব কে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। এছাড়া ফরিদা ইয়াসমিন দিপা কে সিনিয়র সহ- সভাপতি, শহিদুল ইসলামকে সহ সভাপতি, ইয়াসাদ আজিম রনিকে সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, মাহাফুজ্জামান কে যুগ্ম সম্পাদক, সাইফুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মোফাজ্জল হোসেনকে কোষাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমানকে দপ্তর সম্পাদক, তারিক মাহমুদকে প্রচার সম্পাদক করে কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। একই কমিটিতে নির্বাহী সদস্য হিসেবে আছেন, হামিদুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, সোহনুর রহমান সোহান, রেবেকা খাতুন, আসমা খাতুন, লিপি সরকার ও শরিফুল ইসলাম।
এনডিএম এর গাংনী উপজেলা কমিটিকে জেলা উপজেলার সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সাথে দলের নেতাকর্মীরা জনগণের পক্ষে কাজ করবে এমন প্রত্যাশা করেন জেলার সর্বসাধারণ।
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে আমঝুপি বাজার এলাকায় প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে দ্রুতগতির দুই প্রাইভেটকার রেসিং করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুটি দোকান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে।
আহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সিনেমা হলপাড়ার হাফিজের ছেলে ফেরদৌস (১৯) ও পলাশপাড়ার ওহি (১৯)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেহেরপুর শহর থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী দুটি প্রাইভেটকার প্রতিযোগিতা (রেসিং) করছিল। হঠাৎ আমঝুপি বাজারে একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে মার্সেল শোরুমের সাইনবোর্ডে ধাক্কা মারে, পরে লাইম কফি হাউজের দোকান ভেঙে পাশের বটগাছে সজোরে আঘাত হানে। এতে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ভেতরে থাকা দুজন গুরুতর আহত হন।
দুর্ঘটনার পর অপর প্রাইভেটকারে থাকা যাত্রীরা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মেজবাউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাত গভীর হওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। গুরুতর আহত দুজনকে তাদের সঙ্গীরাই নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
প্রাইভেটকারটি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে গেছে এবং বর্তমানে এটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আশপাশের দোকানে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুটেজ পর্যালোচনা করে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।