ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ এক প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারের মাধ্যমে মুসলিম-অধ্যুষিত রাজ্যটির বিশেষ সুবিধা দেওয়া সাংবিধানিক আইনটি বাতিল করে ধারাবাহিকভাবে মুসলিমদের উপর মানসিক অত্যাচার চালিয়ে আসছে। কাশ্মিরের অধিকার কেড়ে নেবার মাধ্যমে এখন তা সহিংস রুপ নিয়েছে। ভারতের বিজেপি সরকার তো উল্টো এই সুজগ নিতে চেষ্টা করছে আসামে। এনডিএম ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। আমরা দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে তাঁদের সীমান্ত অভিমুখে যাত্রা করে এই আগাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠব”। বলেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
আজ ৭ই সেপ্টমবর, ২০১৯ ইং রোজঃ শনিবার বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় ঢাকার রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনের সেমিনার হলে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ভারতের কাশ্মীরে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিভিন্ন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে এক প্রতিবাদী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, “আসামে ১৯ লক্ষ লোকের নাগরিকত্ব বাতিলের মাধ্যমে তাঁরা সুকৌশলে ভারত থেকে মুসলিম বিতাড়িত করার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আমরা এই মুহূর্তে ১০/১৫ লক্ষ রোহিঙ্গাদের নিয়ে বড় ঝামেলায় আছি, যার সমাধান আওয়ামী লীগ সরকার করতে পারছে না। মিয়ানমারকে কোন প্রকারের হুমকি দিতেও তারা নারাজ, তাহলে মিয়ানমার কেন কোন সমাধানে আসবে, বিশেষ করে যখন ভারত, চীন কেউই আমাদের হয়ে কথা বলছে না।
জাতীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুর খায়ের, বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এ্যাড. রেজাউল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেএসডি (রব) এর মহাসচিব আব্দুল মালেক রতন, পিডিপি’র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ মনির, গণফ্রন্ট’র সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেন।
এনডিএম যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ন পারভেজ খানের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। প্রতিবাদী সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনডিএম যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এনডিএম দপ্তর সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা।
দেশের আপামর জনগণ এখন তীব্র আতঙ্কে ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। তিনি বলেছেন, ‘ডেঙ্গুর আতঙ্কে জনগণ যখন আত্মহারা তখন সরকারি দায়িত্বে যারা আছেন তাদের কথায় আমাদের অবাক হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।’
আজ শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এনডিএম’র ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির ঘোষণার সভায় এ সব কথা বলেন ববি হাজ্জাজ।
‘বাড়িতে পরিবার-সন্তানদের নিয়ে ডেঙ্গুর ভয় যেমন প্রত্যেকটা মানুষ আক্রান্ত, তেমনি বাড়ির বাহিরে পা রাখলেই জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত’, যোগ করেন তিনি।’
এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারি দলের হেলমেট বাহিনী লগি-বৈঠা বাহিনী আরও কত কত বাহিনীর ভয়ে এমন একটা জায়গায় আমরা এসেছি যে আপামর জনগণ কোনো প্রতিক্রিয়া জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। একদিকে সরকার থেকে শুনি উত্তর ঢাকা ওষুধ দিলে মশা দক্ষিণ ঢাকায় যায় আর দক্ষিণ ঢাকায় ওষুধ দিলে মশা উত্তর ঢাকায় যায়। অন্যদিকে দক্ষিণ ঢাকার মেয়র সাহেব বলেন, ডেঙ্গু মহামারী নাকি গুজব মাত্র। আমার প্রশ্ন তার কাছে, প্রতিদিন জাতীয় প্রত্যেকটি খবরের কাগজের প্রথম পাতায় কি তাহলে ছবিসহ শুধু গুজব ছাপা হচ্ছে?’
দলটির দপ্তর সম্পাক নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক খবির উদ্দিন রেজা, যুগ্ম বিভাগীয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন।
এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাক শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. নাজিম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জামাল উদ্দিন, লায়ন আবুল ফয়েজ, এইচ এম হাসান পশাল, সদস্য সচিব ও নির্বাহী সদস্য বৃন্দ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ও কমিটির আহ্বায়ক এস এস এ্যাপোলো ইরানী প্রমুখ।
আমাদের দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের সাম্প্রতিক চিত্র ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ২০ বছর আগে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের এক নেতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের শতক পূর্তির মতো বিকৃত উৎসব দেখেছিলাম। এই বছর জুন মাস পর্যন্ত প্রায় ৪০০টি কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মারা গেছে ১৬ জন।’
আজ শনিবার বিকেলে তৃণমূল পর্যায়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, নিউরোসায়েন্স হাসপাতালসহ সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধ এবং দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং হত্যার প্রতিবাদে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এই প্রতিবাদী আলোচনা সভার আয়োজন করে এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।
ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘নাটক, সিনেমা, টিভি বিজ্ঞাপন, ভাষ্কর্যে অবাধ যৌনতা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রধানের মুখ থেকেও আজ শুনছি ইন্টারনেটের অপব্যবহারের কারণে আজ শিশুরা যৌন নির্যাতনের মুখোমুখি হচ্ছে। তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ করে আমরা আজ এক নিরাপত্তাহীন সমাজ উপহার পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘ভাবা যায় না, এক কেজি গরুর মাংস প্রায় ৬০০ টাকা। যেখানে ধানের দাম মণ প্রতি গড়ে মাত্র ৪০০ টাকা। কোথায় যাবে সাধারণ মানুষ? সুশাসন না থাকলে, জবাবদিহিতা না থাকলে, সংসদে এবং রাজপথে কার্যকর বিরোধী শক্তি না থাকলে সমাজের সর্বস্তরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়। আমরা রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে বালিশ দুর্নীতির কথা শুনেছি। ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২০০টি পণ্য কেনা হয়েছে বাজার মূল্য থেকে প্রায় ২০ থেকে ৫০ গুণ বেশি দামে।’
এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক খাতে দুর্নীতির বিচার না হওয়া, দেশ থেকে অবৈধভাবে বিপুল অঙ্কের মুদ্রা পাচারের ঘটনা, সারা দেশে অবৈধভাবে সরকারি খাসজমি, নদী ও জলাশয় দখল, মানব পাচার, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা, সীমান্তে ও মহাসড়কে চাঁদাবাজি, খাদ্যপণ্যে ভেজাল আমাদের হতাশ করেছে। টিআইবির রিপোর্ট অনুসারে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বেতন বাড়লেও জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচার চর্চা সঠিকভাবে হচ্ছে না। এসব কারণে জনগণের মধ্যে চাঁপা আর্তনাদ, যাতে ভেসে যাচ্ছে সকল উন্নয়ন।’
এনডিএম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্মদপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন, যুব আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জুয়েল, মো. সুমন, দিদার আলম, ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা জুয়েল প্রমুখ।
গণঐক্যের সমর্থিত এমডিএম বাংলাদেশে মুসলিম লীগ মনোনীত হারিকেন প্রতীক আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা আজ মঙ্গলবার নবাব স্যার সলিমুল্লাহর বেগমবাজারের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করবে। মাজারে জিয়ারতে অংশগ্রহণ করবেন গণঐক্যের চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ববি হাজ্জাজ, মুসলিম লীগ সভাপতি সাবেক এমপি বদরুদ্দোজা সুজা, মুসলিম লীগ ও গণঐক্যের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, মুসলিম লীগ নির্বাহী সভাপতি আবদুল আজিজ হাওলাদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, ডিএলের মহাসচিব ও ময়মনসিংহ-৮ আসনের গণঐক্যের প্রার্থী সাইফুদ্দিন মনি, মুসলিম লীগ সহসভাপতি মো: কুদরুদউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এইচ খান আসাদ, এনডিএমের যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, দফতর সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হিরাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতারা। বিজ্ঞপ্তি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যকার একান্ত বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মনে করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম। এই বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ গঠনমূলক, গণতান্ত্রিক এবং সহযোগিতাপূর্ণ রাজনীতির পথে বহুদূর এগিয়ে গেলো৷ ১৩ জুন শুক্রবার গলনমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলের দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি একথা জানান।
বিবৃতিতে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানকারী দূরদর্শী রাষ্ট্রনেতা জনাব তারেক রহমান প্রস্তাবিত রমজানের আগের সপ্তাহেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে৷
দীর্ঘ ১৭ বছর পর জনগণ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার কারিগরদের বেছে নেবার যে সুযোগ পাচ্ছে আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই৷ এনডিএম মনে করে, জুলাই গণঅভ্যুথানের যে ভাষা এবং দাবি তা পূরণের দায় এখন ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের৷ আমরা একসাথে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিএনপির চেয়ারম্যান ও সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জাতির ক্রান্তিলগ্নে তাঁর অভিভাবকসুলভ ভূমিকার জন্য৷ তাঁর সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমানের কৌশলী ভূমিকা এবং গণতন্ত্রের প্রতি অনবদ্য অবস্থানের কারণেই দেশ আজ নির্বাচনের মহাসড়কে৷
আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদের সহনশীল মনোভাব এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের জন্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যকার একান্ত বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মনে করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম। এই বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ গঠনমূলক, গণতান্ত্রিক এবং সহযোগিতাপূর্ণ রাজনীতির পথে বহুদূর এগিয়ে গেলো৷ আমরা আশা করছি, আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানকারী দূরদর্শী রাষ্ট্রনেতা জনাব তারেক রহমান প্রস্তাবিত রমজানের আগের সপ্তাহেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে৷
দীর্ঘ ১৭ বছর পর জনগণ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার কারিগরদের বেছে নেবার যে সুযোগ পাচ্ছে আমরা তাঁকে স্বাগত জানাই৷ এনডিএম মনে করে, জুলাই গণঅভ্যুথানের যে ভাষা এবং দাবি তা পূরণের দায় এখন ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের৷ আমরা একসাথে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিএনপির মাননীয় চেয়ারম্যান, সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জাতির ক্রান্তিলগ্নে তাঁর অভিভাবকসুলভ ভূমিকার জন্য৷ তাঁর সুযোগ্য সন্তান জনাব তারেক রহমানের কৌশলী ভূমিকা এবং গণতন্ত্রের প্রতি অনবদ্য অবস্থানের কারণেই দেশ আজ নির্বাচনের মহাসড়কে৷
আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদের সহনশীল মনোভাব এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের জন্য।
অর্থ উপদেষ্টা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন সেটি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে থাকা রাজনৈতিক এবং সামাজিক শক্তিগুলোর প্রত্যাশাকে পূরণ করে নাই। দাতা সংস্থার প্রেসক্রিপশনের এই বাজেট সর্বোচ্চ করহার আগের মতো ৩০ শতাংশ রাখা হলেও আগের ধাপগুলোর সীমা কমিয়ে আনায় গত বছরের সমান আয় করেও বেশি হারে কর দিতে হবে অনেক করদাতাকে। এটি পরিষ্কার বৈষম্য বলে মন্তব্য করেছেন এনডিএম সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকাকে সাদা করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে তা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থী। এই বাজেট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে নাই।
বুধবার রাজধানীর বনানীস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের উপর দলীয় পর্যালোচনা তুলে ধরেন ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম।
দলের পক্ষে পর্যালোচনা তুলে ধরে ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম বলেন, রাজনৈতিক সরকার না হওয়ায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে দুর্নীতিগ্রস্ত রাঘব বোয়াল ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিগ্রহণ করার যে সুযোগ ছিল সেটি তারা কাজে লাগাচ্ছেন না। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। যা বর্তমান অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮.৮৮ শতাংশ বেশি। অথচ সরকার এখনো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ নিষ্পন্ন করতে পারে নাই। এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা সরকারের একটি দিবাস্বপ্ন বলেই আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) -এর ঋণের শর্ত অনুযায়ী কর-জিডিপির অনুপাত উন্নীত করতে গিয়ে করদাতাদের উপর বাড়তি করের বোঝা চাপানো হয়েছে। করের আওতা না বাড়িয়ে বরং করহার বাড়ানো হয়েছে। এতে যারা ইতোমধ্যে কর দিচ্ছেন, তাদের উপরেও চাপ সৃষ্টি করবে। মে-২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ১ শতাংশ, সেখানে প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৬ সালে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অবাস্তব। ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য সরবরাহে সরকারি বরাদ্দ আগের তুলনায় ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে আমরা মনে করি।
এনডিএম বলছে, ঔদাসীন্য লক্ষ্য করা যায় শিক্ষা খাতে, যেখানে মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ না থাকায় প্রতিটি চারজন তরুণের একজন আজ কর্মহীন। অথচ বাজেটে এর জন্য নেই কোনো কার্যকর কৌশল বা উদ্যোগ। এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষাবলয় প্রায় ভেঙেই পড়েছে- শহুরে দরিদ্র, জলবায়ু শরণার্থী কিংবা বেকার যুবকদের জন্য বাজেটে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই, নেই কোনো স্বীকৃতি। আর জ্বালানি খাতে যে ভয়ানক পরিকল্পনাহীনতা আমরা দেখছি তা শুধু ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ ঘাটতি কারণ নয়, বরং এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারকেও চাপে ফেলেছে বিদেশী আমদানি নির্ভরতার কারণে। আধুনিক কৃষি বা জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে নেই কোনো সুসংগঠিত রূপরেখা, নেই কৃষকের দুর্দশা লাঘবে আন্তরিকতার ছাপ।
ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম বলেন, এই বাজেটের সবচেয়ে বড় এবং ক্ষমার অযোগ্য ব্যর্থতা হলো এটি একটি নির্বাচনের বাজেট নয়। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান কিসের জন্য হয়েছিল? জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। অথচ এই বাজেটে নির্বাচন আয়োজন, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম, ভোটার সচেতনতা কিংবা নির্বাচনকালীন আর্থিক কাঠামো তৈরির কোনো আভাস পর্যন্ত নেই। এই গভীর উপেক্ষা প্রমাণ করে দেয় এই বাজেট জনগণের জন্য নয়, এটি একটি কর্তৃত্ববাদী প্রশাসনের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার নীরব কৌশলমাত্র।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের সন্দেহ-সংশয় তৈরি হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দিতে চান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে তার এমন আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছে না বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চায়। ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ড থেকে একরকম সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির দাবির সঙ্গে আরও ৫২টি দলেরও একই সুর। তবে জাপান সফররত প্রধান উপদেষ্টা এক বক্তব্যে বলেন, ‘সব দল নয়, শুধু একটি রাজনৈতিক দলই চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়।’ অর্থাৎ তিনি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে এমন কথা বলেছেন।
এদিকে এ প্রেক্ষাপটে যুগান্তরের পক্ষ থকে নির্বাচনমুখী প্রায় সবকটি দলের দায়িত্বশীল সূত্রের সঙ্গে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আপত্তি নেই বলে মতামত দিয়েছে ৩০টি দল। উল্লেখযোগ্য দলের মধ্যে রয়েছে-মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, সাইফুল হকের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আন্দালিব রহমান পার্থর জাতীয় পার্টি (বিজেপি), নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের দল সিপিপি, বজলুর রশীদ ফিরোজের বাসদ এবং ববি হাজ্জাজের এনডিএম। এছাড়া শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট, এলডিপি ও গণফোরাম। সব মিলিয়ে বিএনপিসহ ৫৩টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তবে জামায়াতে ইসলামী চায় রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে অথবা রোজার পর এপ্রিলে নির্বাচন। ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি ইসলামপন্থি দল চায় মার্চের মধ্যে এবং এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) মৌলিক সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচার শেষে নির্বাচন চায়।
ডিসেম্বরে নির্বাচন চান যারা : গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা মনে করি ডিসেম্বরে ভোট করা যায়। সরকার চাইলে নির্বাচন করতে পারে। আর সেটা যুক্তিসংগতও হবে। আর সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যে প্রত্যাশা ছিল-তা ৯ মাসের পারফরম্যান্সে নেই।’ তিনি বলেন, এখন সময় দীর্ঘায়িত করলেও বেশি কিছু হবে, এমন মনে হচ্ছে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ডিসেম্বর তো বটেই তার আগেও নির্বাচন করা সম্ভব। সরকার অপ্রয়োজনীয় কালক্ষেপণের ধারণা তৈরি করছে। নির্বাচন শুধু বিএনপির দাবি নয়, বরং জনগণের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করার জন্য অপেক্ষা করছে। একইসঙ্গে দেশের মধ্যে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, নির্বাচনের সূচি ঘোষণার পর তাতেও লাগাম আসবে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, একটি দল নয়, প্রায় সব দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এলডিপিও চায় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। এ নিয়ে টালবাহানার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আমরা মনে করি এখন দেশের যে পরিস্থিতি সবকিছু মিলিয়ে ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়াটাই জাতির জন্য মঙ্গলজনক। আরও আগে যদি সম্ভব হয় আরও ভালো। ডিসেম্বর হচ্ছে ডেডলাইন।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, আমরা চাই যত শিগগিরই সম্ভব জাতীয় নির্বাচন। ডিসেম্বর তো পরেরর কথা। যদি অক্টোবরে দিতে পারে তাহলে তা দিক।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে আমরা কোনো সমস?্যা দেখি না। যদিও ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক অবস্থা নিয়ে কমফোর্টেবল না বলে জানিয়েছেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর যুগান্তরকে বলেন, শুধু একটি দল শুধু ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায় একথাটি সঠিক নয়। এখন বলাই যায়, নতুন একটি দল তৈরি হওয়ার জন্য তারা নির্বাচন পেছাতে চায়। যারা সরকারের সুবিধা পাচ্ছেন তারা ছাড়া বাকিরা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়।
এদিকে ১২ দলীয় জোটের নেতারা শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, এ বছরের ডিসেম্বরে শুধু একটি দল নয়, দেশের সব দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়। বরং প্রধান উপদেষ্টা নিজেই কিছু মৌলবাদী, জনসমর্থনহীন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক দলকে পাশে নিয়ে নির্বাচনের প্রশ্নটিকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছেন, করছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন-জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এমএ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।
অপরদিকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক বিবৃতিতে জানানো হয়, ডিসেম্বরের মধ্যে একটি দল ছাড়া আর অন্য কোনো দল জাতীয় নির্বাচন চায় না, তা সঠিক নয়। গণফোরাম প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পূর্ণ করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছে।
জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন : বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনহ কয়েকটি ইসলামি দল। এনসিপি ইতোমধ্যে জানিয়েছে মৌলিক সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান করে জাতীয় নির্বাচন চায়। সেক্ষেত্রে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে দলটি।
এ প্রসঙ্গে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের যুগান্তরকে বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের যে সময়সীমার কথা সরকার বলছে, তার মধ্যে রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে বা রোজার পরে এপ্রিলে সুবিধামতো সময়ে নির্বাচনের কথা আমরা বলেছি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে হলে বেশি তাড়াহুড়ো হবে, যেনতেন প্রকারের একটা নির্বাচন জাতির ওপর চাপিয়ে দিলে তা আগের মতো হতে পারে। সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে সব কিছু দৃশ্যমান হতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তা করা হলে জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল বা মার্চের দিকে হতে পারে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত ৬৪টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে ৪২টি রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত ছিল। দ্রুত নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপি এপ্রিল থেকে এক মাসব্যাপী আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ধারাবাহিক বৈঠক করে অন্তত ৬০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। এর মধ্যে ১২ দলীয় জোট, ১১ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, ৬ দলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সিপিবি ও বাসদ, এলডিপি, চারদলীয় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এনডিএম, জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণফোরামসহ ৫২ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে। এর মধ্যে অন্তত ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে।
ভারতীয় সামরিক বাহিনী কর্তৃক পাকিস্তান ভূ-খন্ডে আকাশপথে হামলার ঘটনাকে অনভিপ্রেত এবং অপ্রত্যাশিত আখ্যা দিয়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় যুদ্ধ বা সংঘাত মোটেই কাম্য নয়। আমরা সবাই মানবিক এবং শান্তির বিশ্ব গড়তে চাই। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় পাক-ভারত যুদ্ধ কাম্য নয়।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। ববি হাজ্জাজ উল্লেখ করেন, আমরা বিশ্বাস করি, যেকোন সন্ত্রাসী আক্রমণ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করার পূর্ণ অধিকার ভারতসহ বিশ্বের সব দেশ সংরক্ষণ করে। তবে গতকাল রাতে ভারতীয় বিমানবাহিনী কর্তৃক পাকিস্তান ভূ-খন্ডে হামলার ঘটনা একইসাথে অনভিপ্রেত এবং অপ্রত্যাশিত। উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন যেকোন পদক্ষেপ এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে এবং সাধারণ মানুষের জানমালকে হুমকির মুখে ফেলবে। এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান নিজেদের মধ্যকার সমস্যার সমাধান করবে।
দুই দেশের সাধারণ মানুষ কোন উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখতে চায় না। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের জনগণও মানবতা এবং শান্তির পক্ষে সবসময় তাঁদের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছে। ববি হাজ্জাজ বলেন, যুদ্ধ কোন সমাধান হতে পারে না। পাকিস্তানকে এখন সর্বচ্চো সংযমের পরিচয় দিতে হবে এবং প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় সমাধানের পথে হাঁটতে হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশটি তাঁর শক্ত অবস্থান বজায় রাখবে বলেও আমরা বিশ্বাস কবি। আমরা একইসাথে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বাংলাদেশের অন্তবর্রর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
ববি হাজ্জাজ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতকোত্তর পড়াকালীন থেকে তিনি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখছেন। তিনি একাধিক রাজ্য সিনেট এবং গভর্নারেটাল নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত ছিলেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি এমবিএ করেন। বর্তমানে তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নূরে আলম সিদ্দিকী
কালবেলা: ছাত্র-জনতার আন্দোলন-পরবর্তী বাংলাদেশ সম্পর্কে এনডিএমের অবস্থান কী?
ববি হাজ্জাজ: বহু বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনে এনডিএম ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। রাজপথে আমরা আওয়াজ তুলেছি। এর জন্য অনেক অত্যাচার-অনাচার সহ্য করতে হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের পর নতুন সূর্যের মুখ দেখার প্রেক্ষাপটে আমাদের সবার চাওয়া অনেক বেশি ছিল। আমাদের প্রথম চাওয়া ছিল জনগণের অধিকারের বাস্তবায়ন। আর সেই অধিকার বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হলো নির্বাচন।
গত সাত-আট মাস অন্তর্বর্তী সরকার অনেক ভালো কাজ করেছে। তার জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। একই সঙ্গে দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতা যেমন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ ইত্যাদির জন্য একটি নির্বাচিত সরকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই আট মাসে আমরা এখনো পরিষ্কার হইনি যে, কবে নির্বাচন হবে।
অনেকেই বলছেন যে নির্বাচন পিছিয়ে দাও, রমজান যেমন ভালো গেছে সবসময় তেমন ভালো যাবে। রোজার মাসের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যেমন ধন্যবাদ জানানো দরকার, একই সঙ্গে এ উপলব্ধিটাও দরকার দীর্ঘমেয়াদে বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকার দ্বারা সম্ভব নয়। অর্থনীতিকে চলমান রাখতে ও শক্তিশালী করতে সবচেয়ে জরুরি হলো স্থিতিশীলতা। কোনো ব্যবসায়ী যখন দেখবে, সরকার যে কোনো সময় বদলাতে পারে, তখন সে বিনিয়োগ করার আগে কয়েকবার চিন্তা করবে। বিদেশিরা তো বিনিয়োগ করবেই না। বিদেশিরা যদি বিনিয়োগ না করে, দেশি ব্যবসায়ীরাও যদি বিনিয়োগ না করে তাহলে ব্যবসা চলবে কীভাবে।
কালবেলা: নতুন দল এনসিপি সম্পর্কে এনডিএমের অবস্থান কী?
ববি হাজ্জাজ: রাজনৈতিক মহলে নতুন দল ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)কে আমরা সাধুবাদ জানাই। তরুণরা মিলে একটি দল করেছে। এনসিপির সমালোচনা করতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে, তারা প্রথম থেকেই একটা আওয়াজ তুলেছিল যে জুলাই আন্দোলনের একক ক্রেডিট তাদের। তারা ক্রেডিট ডিজার্ভ করে এটা সত্য, কিন্তু তাদের সঙ্গে আরও লাখ লাখ মানুষ আছেন যারাও ক্রেডিট পাবেন। তারা যদি বলত যে ‘আমরাও’ ক্রেডিট ডিজার্ভ করি তাহলে সমস্যা ছিল না। এই দলটার এখন পর্যন্ত কোনো অফিসিয়াল ডিক্লারেশন নেই, অফিসিয়াল কোনো কনস্টিটিউশন নেই, অফিসিয়াল কোনো স্টেটমেন্ট নেই। এনসিপির প্রতি আমার অনেক প্রত্যাশা। কিন্তু দুঃখজনক তারা তাদের ভুলগুলো কাটিয়ে উঠছে না।
কালবেলা: সংস্কার ও নির্বাচন সম্পর্কে এনডিএমের অবস্থান কী?
ববি হাজ্জাজ: শুনছি যে অল্প সংস্কার হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। তো অল্প সংস্কার মানে কী? কার মতের ওপর ভিত্তি করে আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন যে এটাই অল্প সংস্কার? এগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিষ্কার করতে হবে। আপনি যদি বলেন যে এনসিপি মানলে তবে আমরা মানব, তখন একটা প্রশ্ন আসবে যে কেন এনসিপি মানলে আপনারা মানবেন। নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থানটা সবার সামনে পরিষ্কার করতে হবে। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কালবেলা: কোন কোন ক্ষেত্রে সংস্কার জরুরি?
ববি হাজ্জাজ: সংস্কার ও নির্বাচন কখনোই সাংঘর্ষিক ছিল না, এখনো সাংঘর্ষিক নয়। এই আলোচনা যারা সবার সামনে এনেছেন তারা নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চেয়েছেন বলে আমার মনে হয়। সরকারের ভেতর থেকে দুয়েকজন উপদেষ্টা এমন কথাও বলেছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কার করতেই পারত তাহলে গত ৫৩ বছরে কেন তারা করেনি। যারা এ কথাগুলো বলেন তারা হয়তো ভুলে গেছেন গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের জনগণ কাজ করেছে বলে আজ বাংলাদেশ এ জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি না। আশপাশের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিছুদিন আগে যখন শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে গেছিল তখন বাংলাদেশ তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল। তবে বিগত সরকার যেভাবে লুটপাট করেছে তাতে বাংলাদেশ বর্তমানে কিছুটা ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে, কিন্তু আমরা ভঙ্গুর দেশ না।
অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার কমিশগুলো তৈরি করেছিল, তারা অনেক সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। এ সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে। এনডিএম এ প্রস্তাবের দুই-তৃতীয়াংশের সঙ্গে একমত। আমার দল এনডিএম ১৬৬টা প্রস্তাবের মধ্যে ১২০টির সঙ্গে একমত হয়েছে।
তবে এসব প্রস্তাবের মধ্যে এমনকিছু বিষয় আছে, যা পরিবর্তনের জন্য সংবিধানে হাত দিতে হবে। সংবিধানে হাত দেওয়ার প্রশ্ন যখন আসে তখন নির্বাচন ছাড়া তা সম্ভব নয়। যুগপৎ আন্দোলনের শরিক সব দল আমরা একমত যে, সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু সেটার জন্য নির্বাচন লাগবে। সব তো আর মুখের কথা নয়, আইনি জটিলতা আছে। সুতরাং সংস্কার করতে চাইলেও নির্বাচনটা জরুরি।
কালবেলা: প্রশাসনিক সংস্কার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে এনডিএমের পরামর্শ কী?
ববি হাজ্জাজ: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাঠামোগত অনেক ধরনের সংস্কার দরকার। এটার জন্য আমরা আমাদের দল থেকে একটি সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। পুলিশ বাহিনীকে সাজানোর জন্য সর্বপ্রথম পুলিশ অ্যাক্টে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। একই সঙ্গে ১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া পেনাল কোড আমরা এখনো অনুসরণ করছি। আমরা দুই-আড়াইশ বছরের পুরোনো নিয়মকানুন এখনো অনুসরণ করে যাচ্ছি। এজন্যই আমরা ভুল পথে হাঁটছি। এগুলোতে পরিবর্তন দরকার। গত ১৫ বছরে স্বৈরাচার সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল। একই সঙ্গে পুলিশ জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে জনগণের বিপরীতে দাঁড়িয়েছিল। এই পুলিশ সংস্কার রাতারাতি হবে না। এ সংস্কার করতে হলেও একটা শক্ত রাজনৈতিক সরকার দরকার।
কালবেলা: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে এনডিএমের অবস্থান কী?
ববি হাজ্জাজ: আমরা প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি তুলেছি। আমরা হাইকোর্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য। নাগরিক হিসেবে আমাদের পুরো অধিকার আছে রাজপথে নামার, আন্দোলন করার। কিন্তু আন্দোলনে যদি আইনবহির্ভূত কিছু চাই সেটা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে সেটা আমরা বিশ্বাস করি না। কিন্তু বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে আওয়ামী লীগকে কয়েকভাবে নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।
ছাত্রলীগকে যে আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগকেও সে আইনে নিষিদ্ধ করা যাবে। যেসব কারণ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে ছিল, সেসব একই কারণ দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ওপরও বর্তায়। সেসব কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিলুপ্ত করা সম্ভব। নির্বাচন কমিশন চাইলেই সেটা পারবে। ২০১৮ সালের ভোট কারচুপির অনেক প্রমাণ জনগণের কাছে আছে। এটার দায় সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগ দলের ওপর বর্তায়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত এমন কোনো রাজনৈতিক দল নেই যারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ দেখতে চায় না। সবাই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ দেখতে চায়।
কালবেলা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনডিএম কি বিএনপির সঙ্গে জোট করবে?
ববি হাজ্জাজ: আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার। আমরা যদি সব আসনেও না পারি, তবুও যতগুলো আসনে প্রার্থী দেব সেসব প্রার্থী যেন ভালো হয় সে চেষ্টা করছি। যারা জনগণের সেবা করবে, জনগণের পাশে থাকে এবং থাকবে, তাদেরই অগ্রাধিকার দেব। একই সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপিসহ যতগুলো বড় দল ছিলাম, তাদের প্রথম থেকেই প্রস্তুতি ছিল যে নির্বাচনে আমরা একত্রিতভাবে যাব। আমরা আশাবাদী এই প্রচেষ্টা সফল হবে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না হয় ততক্ষণ নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
In the months following the end of a long and autocratic rule, Bangladesh has witnessed a fragile but remarkable return to administrative sanity. Under the interim government, led by Prof Muhammad Yunus, the state has achieved a measure of control that seemed impossible under the previous regime. The management of Eid travel and the stabilisation of food prices during Ramadan stand out as concrete improvements. These are not small feats, especially given the devastating state in which this government inherited its institutions and economy.
As someone who supported the idea of an interim administration led by Prof Yunus long before it materialised, I take personal pride in these early achievements. They reflect not only the credibility of his leadership, but also the seriousness of a government trying, however briefly, to re-establish the idea that public service should serve the public.
However, praise must be accompanied by proportion. Prof Yunus himself would be the first to say that this is a team effort—one enabled by a reform-oriented planning ministry, a finance ministry willing to act against cartels, and state agencies such as the Trading Corporation of Bangladesh given actual authority to intervene in markets. Crucially, none of this would have been possible without a renewed civic energy: a citizenry that, after the mass uprising of July 2024, has become more aware, more vocal, and far less tolerant of manipulation.
And yet, a new danger is emerging from within the very segment of society that should know better. Among urban, educated, social media savvy citizens, a narrative is spreading with alarming speed—that Prof Yunus should stay on, not for three months, but for three years or more. Some of this sentiment is organic, born of understandable exhaustion. But some of it, clearly, is not. There are unmistakable signs that promotional campaigns are shaping this rhetoric, possibly by groups that are uneasy about elections and accountability.
At the heart of this sentiment is an implicit belief that because this interim government has delivered some basic services better than the last unelected regime, it is therefore more fit to rule long-term. This logic is not only flawed, it is historically dangerous.
There are several reasons why this logic must be challenged. First, no interim government, however competent, has the mandate to govern a democracy. Second, the idea that Bangladesh never experienced good governance until now is plainly untrue. The arc of our national development, with all its contradictions, has included moments of serious reform, dedicated leadership, and meaningful public service. Third, short-term efficiency should not be mistaken for the long-term work of institution building. Real transformation requires depth, continuity, and accountability. No interim body, however sincere, can deliver that.
But the deeper issue here is a lack of political education. The call for an extended unelected rule, following the fall of an autocrat, is a contradiction that must be named. We cannot claim to support democracy while asking an unelected official to govern indefinitely. We cannot honour the sacrifice of thousands of citizens in the July movement only to discard the principle of popular sovereignty so soon after victory.
This is where the insights of political philosophy remain relevant. European thinkers such as Rousseau, Hegel, and Tocqueville, however culturally distant, understood one core truth: democracy is not natural; it must be learned. Freedom is not merely the absence of tyranny, but the presence of civic responsibility and political maturity.
Rousseau's Émile teaches that the good citizen must be educated into self-awareness, not simply granted formal liberty. The teacher must guide the child not only towards freedom, but towards the recognition that freedom is only meaningful within a just society.
Hegel, in his vision of Bildung, emphasises the development of the individual through structured encounters with the institutions of state—family, civil society, law. Through this process, the individual becomes capable of true freedom, which is found not in isolation but in participation.
Tocqueville observed that in America, political freedom was sustained not by theory, but by practice—by the habits of local engagement, voluntary associations, and religious socialisation. A democratic state, in his view, can only function when the citizen has already internalised the ethics of liberty.
All three thinkers, despite their differences, converge on one point: democracy must be underpinned by education—not technical education, but moral and civic education. It is precisely this education that is lacking among many of our best-educated citizens today.
To see people, many of them graduates of elite institutions, calling for a "benevolent extension" of interim rule is to witness how little they understand the hard demands of democratic life. Governance is not a matter of finding the perfect person; it is about building institutions that prevent abuse and ensure continuity regardless of who holds office.
This article is not an attack on Prof Yunus. He has served well and with integrity. But the real test of his leadership lies not in how long he stays, but in whether he can oversee an orderly, timely transition to elections.
The future of our republic depends not on individuals, but on principles. Let us not replace an unelected despot with an unelected reformer, however well-meaning. Let us demand of ourselves the maturity to distinguish temporary competence from lasting legitimacy.
We need not rush into cynicism—but neither should we retreat into comfort. The path forward is difficult. It requires an educated public, a culture of civic participation, and institutions that reflect the people's will. The alternative is clear: a cycle of dependency, however refined, that will eventually bring us back to where we started.
ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র সংষ্কারের আকাঙ্খা এবং উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, “আমরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্ববর্তীকালীণ সরকারকে রাষ্ট্র সংষ্কারের মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তবে আমরা মনে করি, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে গঠিত হওয়া এই সরকারের দায়িত্ব ছিলো টেকসই ভবিষ্যত বিনির্মাণের জন্য ফ্যাসিবাদী সংগঠন হিসাবে আওয়ামী লীগের বিচার করা। কারণ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাই সর্বপ্রথম সংষ্কার।”
ববি হাজ্জাজ বলেন, “সাবেক কোন প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের অযোগ্যতা একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে আমরা এই প্রস্তাবের সাথে একমত হতে পারি নাই। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই টার্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়েও আমরা পুরোপুরি একমত নই। জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের ব্যাপারে আমরা একমত হলেও আমরা মনে করি একমাত্র নির্বাচিত সংসদই এই সিদ্ধান্ত নেবার এখতিয়ার রাখে। তবে সংবিধান সংষ্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশকৃত এনসিসির গঠন প্রক্রিয়ার সাথে আমরা সম্পূর্ণভাবে একমত নই এবং প্রয়োজনে এনসিসির সকল সদস্যের সম্মতিতে রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করতে পারেন বলে যে বিধান রাখা হয়েছে তার সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করেছি।”
তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করার যে সুপারিশ নির্বাচন কমিশ সংষ্কার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আমরা তা প্রত্যাখান করেছি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিকে মনোনীত করার বিষয়ে আমরা একমত নই। সংবিধানে বহুত্ববাদ সংযোজন নিয়েও আমাদের আপত্তি রয়েছে। রাষ্ট্রের মূলনীতি পরিবর্তনের সুপারিশ যেভাবে করা হয়েছে সেখানে জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে আমাদের ভিন্নমত রয়েছে। সংবিধানে মৌলিক অধিকার প্রশ্নে ভারসাম্য এবং আনুপাতিকতা পরীক্ষার যে কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়।”
ববি হাজ্জাজ বলেন, “নূন্যতম ১০% আসনে রাজনৈতিক দলগুলোকে তরুণ প্রার্থী দেবার যে বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে সেটা অস্পষ্ট। এমপি পদে নির্বাচনে বয়স কমিয়ে ২১ করাটা বর্তমান বাস্তবতায় সম্ভব নয়। একজন সংসদ সদস্য একইসাথে সংসদ নেতা, প্রধানমন্ত্রী এবং রাজনৈতিক দলের প্রধান থাকতে পারবেন না বলে যে সুপারিশ করা হয়েছে তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখনো বাস্তবায়নযোগ্য নয়।”
ববি হাজ্জাজ বলেন, “সদ্য গঠিত একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিতে জনপ্রশাসন সংষ্কার কমিশন জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে নাগরিক কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছে বলে আমরা ঐকমত্য কমিশনকে জানিয়েছি। উপজেলা জননিরাপত্তা অফিসার পদে একজন এএসপি পদমর্যাদার কাউকে নিয়োগ করার ব্যাপারে আমাদের আপত্তি রয়েছে। একইসাথে আমরা প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু এবং জেলা পরিষদ বাতিলের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছি। রাজধানী মহানগর সরকার চালুর যে সুপারিশ করা হয়েছে সেখানেও আমাদের আপত্তি রয়েছে।”
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের আজকের এই লক্ষ লক্ষ মানুষের মিছিলের বার্তা হচ্ছে, বিশ্বের মুসলমানদের অধিকারের ব্যাপারে বাংলাদেশের তরুণরা যেমন সোচ্চার, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রের ব্যাপারে যদি কোন প্রশ্ন উঠে সেখানেও তারা সোচ্চার থাকবেন। বাংলাদেশের তরুণরা সবসময় সোচ্চার ছিলেন, আছেন এবং সামনেও থাকবেন।
আজ ১২ই এপ্রিল (শনিবার) ‘মার্চ ফর গাজা’ অনুষ্ঠানের একটি মিছিলে এসব কথা বলেন তিনি।
গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে আজ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামক এক ব্যতিক্রমধর্মী গণজমায়েত। বিকেল ৩টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই জনস্রোত ভিড় জমাতে শুরু করে উদ্যানে ও তার আশপাশের এলাকায়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশদ্বারে দেখা গেছে মানুষের দীর্ঘ লাইন। একের পর এক মিছিল আসছে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। হাজারো মানুষের কণ্ঠে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। মিছিল থেকে ভেসে আসছে প্রতিবাদের গর্জন। অংশগ্রহণকারীদের অনেকের হাতেই রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও ফিলিস্তিনের পতাকা।
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে – ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান বর্বরোচিত ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গঠন, মানবিক সহানুভূতি জাগ্রত করা, এবং নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করা।
বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে কর্মসূচি চলবে মাগরিবের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এটি কোনো রাজনৈতিক বা দলীয় অনুষ্ঠান নয়; বরং মানবিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের পক্ষে একটি সর্বজনীন অবস্থান।
উদ্যানের পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর হলেও হৃদয়ে ছিল শোক ও প্রতিবাদের তীব্র সুর। বক্তব্য, ব্যানার, পোস্টার ও শ্লোগানে একটাই বার্তা – “গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো”, “মানবতা বাঁচাও” এবং “নিপীড়িতের পাশে দাঁড়াও”।
শুক্রবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে এনডিএম এর অবস্থান নিয়ে এসব কথা জানায় দলটি৷
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুথানে পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর এ দেশে এক নবদিগন্তের সূচনা হয়েছিলো৷ ২০১৭ সালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দল হিসাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার থেকেছে৷ বিএনপির নেতৃত্বে হাসিনা পতনের একদফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলন করেছে এনডিএম। জুলাই গণঅভ্যুথানেও আমরা রাজপথে রক্ত ঝড়িয়েছি।
এতে বলা হয়, ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর নতুনভাবে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করে এনডিএম৷ একইসঙ্গে আমরা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বিচারও চেয়েছি৷ দু:খজনক হলেও সত্য, নতুন খসড়া আইনে এই ট্রাইবুনাল কর্তৃক সংগঠনের বিচার করার এখতিয়ার দেওয়া হয়নি।
তবে আমাদের লড়াই থেমে যায়নি। আমাদের কথা পরিষ্কার, বাংলাদেশের পবিত্র জমিনে অগনিত ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক কর্মী, আলেম-ওলামা, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের রক্ত ঝড়ানো আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না৷ আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার যে কোনও প্রকল্প আমরা রক্তের বিনিময়ে রুখে দেব, ইনশাআল্লাহ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্বাচন এবং রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগকে দূরে রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে৷ জনগণ এই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে আর দেখতে চায় না।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে যে কোনও আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থাকবে এনডিএম। এখানে কোনও যদি-কেন-কিন্তু নেই৷ সরকারের ভেতরে বা বাইরে যারাই আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসন করতে চাইবে তাদেরকেই জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হিসাব দিতে হবে।
There are rivers, and then there are currents. The rivers of Bangladesh—Padma, Meghna, Jamuna—run deep, shaping land, destiny and commerce. But currents, the unseen forces that dictate the flow of history, are harder to chart.
The tides of geopolitics, the undercurrents of trade wars, the ripples of power shifts—all dictate the future of nations. In this interplay, Bangladesh and China are not merely drifting neighbours; they are architects of a shared destiny, bound by history, ambition and a blueprint for the future.
Recent events have added urgency to this discourse. A 21-member delegation, of which I was a part, embarked on a journey to Beijing, not as idle emissaries but as active negotiators of Bangladesh's place in the unfolding Asian century. In meetings with high-ranking officials of the Chinese Communist Party (CPC) and the foreign ministry, we presented a vision for an elevated partnership. The response? Enthusiastic endorsement.
What followed was not mere diplomatic pleasantries but a recognition: Bangladesh is ready to be more than a recipient of Chinese investments; it is ready to be a strategic collaborator, a manufacturing force, and a regional stabiliser.
Bengal's entanglement with China predates modern geopolitics. In the fourth century, Fa-hsien chronicled the culture of the Gangetic delta, and in the seventh century, Hiuen Tsang met King Harshavardhana, bearing testimony to ancient ties of scholarship and trade. Fifteenth century navigator Ma Huan, who sailed under Admiral Zheng He, described Bengal's bustling ports, its Muslim rulers, and the mercantile energy that linked it to the Chinese court.
In matters of spirit, even the revered Shah Jalal of Sylhet found a place in Chinese records, further cementing centuries-old exchanges.
These were not just transactions; they were threads in a grander fabric, one that today unfolds in the shape of economic corridors, industrial parks, and transcontinental supply chains.
As China ascends to the heights of artificial intelligence and high-tech industries, it leaves behind a vacancy—a space for manufacturing to migrate. Vietnam has seized the opportunity. So has Indonesia. Why not Bangladesh?
DeepSeek, China's latest foray into AI, signals a shift, one where China will export not just goods but knowledge while relocating its traditional industries elsewhere. Bangladesh, with its labour force, its strategic location, and its deepening ties through the Belt and Road Initiative (BRI), must make the case for itself. The investments that were put on hold due to political uncertainties must be rekindled, and Bangladesh should position itself as the next re-export hub for Chinese goods, optimising trade routes, reducing costs, and sustaining China's access to global markets.
Of all the shadows looming over Bangladesh, none is darker than the crisis in Myanmar. The Rohingya crisis is not just a humanitarian catastrophe; it is a geopolitical fault line. Without stability in Myanmar, Bangladesh's security remains fragile.
China's influence in Naypyidaw is undeniable. Yet, for too long, Bangladesh has been a passive observer, waiting for Beijing to pressure the Myanmar junta into action. The delegation pressed the case: China must do more. The repatriation of the Rohingya, the stabilisation of Rakhine state, and the assurance that Myanmar does not descend into prolonged chaos are matters that Beijing cannot afford to ignore. The response? A willingness to engage, to mediate, and to ensure that the next Bangladesh government finds a stable eastern frontier.
The world is in flux. The US, China and India form a triad of competing interests in South Asia. Bangladesh's geography has placed it at the crossroads of this rivalry, but geography is not destiny—policy is. Rather than picking sides, Bangladesh can be a bridge between these global powers, leveraging its historical closeness with India, its growing ties with China, and its strategic importance to the US.
This is not about neutrality but about active diplomacy—playing the role of mediator, connector, and stabiliser in an increasingly multipolar world.
The meetings in China were not just about rhetoric. They were about plans, commitments, and structured collaboration. The 11-point charter, adopted by the delegation and welcomed by the CPC, outlines the next steps: strategic alignment for regional stability; positioning Bangladesh in global trade shifts; strengthening logistics and trade routes; advancing technological partnerships; expanding trade and cultural exchange; building a sustainable industrial base; expanding military manufacturing ties; leveraging China's diplomatic influence for Rohingya repatriation; Teesta River water management; accelerating investment in transport and communications; and developing banking and financial collaboration.
The enthusiasm from China's leadership was not just symbolic. These initiatives are actionable, transformative, and most importantly, mutually beneficial.
The rivers in Bangladesh will always flow towards the sea, but the currents of history can be steered. The Bangladesh-China relations have entered a new era, one where Bangladesh is not just a recipient of investment but a co-creator of the future. The foundation has been laid; the agreements have been acknowledged. The challenge, now, is execution. Will Bangladesh rise to claim its place as a hub of manufacturing, defence co-production, and geopolitical mediation? Or will it allow others to dictate the terms of engagement? The moment demands action, vision, and leadership.
The tide is rising. Bangladesh must set sail.
BNP Acting Chairman Tarique Rahman on Tuesday urged political parties to present proposals to the nation to address public issues, rather than focusing only on reforms to the state structure and institutions.
"Instead of merely discussing the caretaker government system, the constitutional framework, and the voting and electoral system, there should be more emphasis on how the problems of people will be resolved," he said during an iftar programme.
The Nationalist Democratic Movement (NDM) organised the iftar party in honour of political parties at the Bangladesh Shooting Sport Federation Convention Hall in the capital.
Tarique believes that, just as there should be discussions and proposals regarding the control of prices for essential goods, the market system, and the production system, there should also be debates among political parties on how to ensure primary healthcare for the people in this populous nation of approximately 200 million. "Why aren’t we talking about these issues?"
He also said whether formulating laws and regulations to restore the caretaker government and limiting any individual to two terms as Prime Minister are considered reforms. "Isn’t reform necessary to change the market system, boost production and improve the healthcare and education systems?"
As political parties are meant to serve people, the BNP leader said they should also focus on many other critical issues related to the public's interests.
"For example, most people in the country are suffering severely due to the rising prices of essential items. Why are political parties not engaging in discussions on how we will address this issue?" he asked.
Tarique said political parties should present plans and proposals to the nation on how they will keep commodity prices within the purchasing power of the common people by overhauling the market system and boosting production. "Why don’t we discuss these issues? We should address them before the nation.”
He acknowledged that different democratic political parties have varying political ideologies, but their common goal is the restoration of democracy and the creation of a humane Bangladesh where people will enjoy freedom of expression.
The BNP leader said his party, along with many other democratic parties, had led movements to restore the rights taken away from people. "We succeeded in this endeavour. But, reform is now the most discussed issue, as much is being said about it.”
Tarique acquitted by Jashore court in sedition case filed in 2014
Tarique recalled that the political parties, including the BNP, had drafted a 31-point reform outline and presented it to the nation. "We did this around two-and-a-half years ago, when many others were not talking about reforms," he said.
He said they welcome various opinions and proposals regarding state reform, as they are open to discussing issues related to the welfare of the country and its people. "The discussions currently taking place about reforms are certainly necessary.”
The BNP leader said discussions are now taking place on the pros and cons of introducing a bicameral parliament, limiting an individual's terms to become Prime Minister, ensuring a balance of power between the President and the Prime Minister, and restoring the caretaker government. "We have said we will implement these changes in line with people’s desires if we form the government with their support.
“Let us think about the problems of people and talk about them. Let us try to highlight what reforms we have in this regard as well,” he said.
Tarique acknowledged that political parties will inevitably criticise each other realistically.
“But, we must avoid creating a situation where, in our criticism of each other, we forget to address the issues facing our people and the country, allowing insignificant matters to become more important. If this happens, the potential of this country will be ruined,” he warned.
He said that reform is also essential for overhauling the country’s education system. “If we fail to establish a proper education system for future generations, how can we possibly move this country forward? How can we build a prosperous nation?”
The BNP leader said each party should inform the public about their plans and proposals for reforming the education system. “We advocate for a production-oriented education system, but perhaps we should provide more details on what that entails."
Tarique also said it is urgent for political parties to present reform proposals to combat environmental pollution as the country is facing severe environmental threats.
"I believe reform proposals on the environment are crucial at this moment. Due to noise pollution, air pollution, and other forms of pollution, millions of people, including children, are becoming physically ill every year. Our plan to protect the entire country, including the capital, from this pollution should be presented by all political parties to the nation,” he said.
The BNP acting chairman said political parties should also address necessary reforms related to issues such as creating an environment conducive to industrialisation, providing safe drinking water and tackling the power and energy crisis.
NDM Chairman Bobby Hajjaj, Tarique Rahman’s political adviser Mahdi Amin, AB Party Chairman Mujibur Rahman Manju, and Nagarik Oikkya leader Shahidullah Kaiser, among others, addressed the programme.