Category: NDM

ঈদে মহাসড়ক যেন মহাআতঙ্ক না হয়: ববি হাজ্জাজ

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ জনগণের আনন্দময় ঈদ উদযাপন নিশ্চিত করার জন্য মহাসড়কগুলোকে নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার এনডিএম-এর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কর্তৃক আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মহাসড়কগুলো নিরাপদ ও যানজটমুক্ত করতে সরকার ব্যবস্থা নেবেন বলে ববি হাজ্জাজ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতি ঈদেই বাড়ি ফিরতে গিয়ে মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। অথচ একটু পরিকল্পনা করে আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এ পরিস্থিতি অনেকটাই এড়ানো যায়। এতে জনগণের কষ্টও লাঘব হবে।’
মাহফিলে আরও ছিলেন এনডিএম-এর মহাসচিব (চলতি দায়িত্বে) অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সৈয়দা সাদিয়া মেহ্জাবীন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. কায়সারুর ইসলাম, বিভাগীয় সম্পাদক (প্রচার ও প্রকাশনা) শেখ মো. আলমগীর।

https://www.banglatribune.com/politics/other-politics/217527/%E0%A6%88%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C

ভাস্কর্য নিয়ে তামাশা করা হয়েছে: ববি হাজ্জাজ

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণ করে তা আবার পুনঃস্থাপন করে জাতির সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী গণতা‌ন্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্যই এটা করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে দল‌টির রাজধানীর বনানীর কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দ‌ক্ষিণের আহ্বায়ক ক‌মি‌টি ঘোষণা অনুষ্ঠানে আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের ছেলে এই কথা বলেন।

গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের সামনে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে নারীর ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর থেকেই ধর্মবিরোধী আখ্যা দিয়ে এটিকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল হেফাজতে ইসলাম।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেন এর নির্মাতা মৃণাল হক। কিন্তু আগের অবস্থান থেকে সামান্য দূরে এনেক্স ভবনের সামনে শনিবার গভীর রাতে পুনঃস্থাপন করা হয় ভাস্কর্যটি।

ববি হাজ্জাজ বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূ‌র্তি রাতের আঁধারে অপসারিত হলেও, রাতের আঁধারেই এনেক্স ভবনের সামনে তা প্র‌তিস্থা‌পিত হয়েছে। রাজ‌নৈ‌তিক ফায়দা হা‌সিলের জন্য জাতির সঙ্গে এটা এক ধরনের তামাশা।’

বাংলাদেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের শূন্যতা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ববি হাজ্জাজ। বলেন, এ অবস্থা থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে হবে।

সড়ক দুর্ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব‌বিদ্যালয়ের দুই ছাত্র নিহত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ববি হাজ্জাজ। বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্লজ্জভাবে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।’

এই ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ৪২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাদের মধ্যে এনডিএমের দুইজন কর্মী ছিলেন বলেও জানান দলটির প্রধান।

রমজান মাসে সারাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের সমাধানের জন্য সরকারের প্র‌তি আহ্বান জানান ববি হাজ্জাজ।

এ সময় ‌সৈয়দা সা‌দিয়া মেহজাবীনকে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং আইনজীবী আফতাব হোসেন মোল্লাকে ঢাকা দ‌ক্ষিণের শাখার আহ্বায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

এনডিএমের মহাসচিব আবদুল্লাহ মো. তা‌হের, যুগ্ম মহাসচিব লাকী হুসাইন, সাংগঠ‌নিক সম্পাদক কায়সারুল ইসলাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপ‌স্থিত ছিলেন।

রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এনডিএমের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন ববি হাজ্জাজ। এরপর দেশের বিভিন্ন শাখায় কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।

https://www.dhakatimes24.com/2017/05/29/34683/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9C?fbclid=IwAR2a8TbE_klbv0qfXfpZcjP6DN8a2xE3b9PjjfzHnryFfUrm2yapsLaSTUQ

মেধাবী নেতৃত্বে উজ্জীবিত এনডিএম এর ছাত্র সংগঠন

বিশেষ প্রতিবেদক : ববি হাজ্জাজ এর নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক দল এনডিএম এর ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন এর জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করার পর দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন এর নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্যম সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় এনডিএম এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ সাম্প্রতিক দলীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদমর্যাদা সম্পন্ন তাঁর বিশেষ সহকারী মোমিনুল আমিনকে ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত বিষয়াবলী দেখভাল করার দায়িত্ব দেবার তিন দিনের মাথায় এই জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হয়।

যোগাযোগ করলে মোমিনুল আমিন জানান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নিয়োগ দেবার আগ পর্যন্ত এবিষয়ে দায়িত্ব পালন করার জন্য মাননীয় চেয়ারম্যান আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে এনডিএম চেয়ারম্যান এর বিশেষ সহকারী হিসাবে আমার অন্যান্য দায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহ অপরিবর্তিত থাকবে।

মোমিনুল আমিন এর আগে জাতীয় পার্টির রিসার্চ এন্ড স্ট্রাটেজী উইং এ কৌশল বিশ্লেষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। জাতীয় বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি মেলা-২০০২ এ বাংলাদেশে প্রথম স্থান অধিকারী ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরষ্কাপ্রাপ্ত তরুণ এই রাজনৈতিক পড়াশোনা করেছেন মার্কেটিং বিষয়ে, পেশাগত জীবনে কাজ করেছেন পেপসিকো ইন্টারন্যাশনাল, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজসহ নামকরা দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও যোগাযোগ ও ব্রান্ডিং কৌশল বিষয়ক ট্রেইনার হিসাবে খ্যাতনামা ট্রেইনিং ইনষ্টিটিউটে কাজ করেছেন তিনি।

এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এর নাগরিক ক্ষমতায়ন আন্দোলন “স্বপ্নের দেশ” এর ক্যাম্পেইন ম্যানেজার হিসাবে তিনি  দেশব্যাপী তরুণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মসূচীতে অংশগ্রহন নিশ্চিতে কাজ করেছেন এবং জঙ্গীবাদবিরোধী গবেষণামূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন এর জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্ববায়ক হিসাবে মনোনীত হয়েছেন মোঃ ইসমাইল হোসেন। আইন অনুষদের এই মেধাবী ছাত্র ইতিমধ্যে দেশব্যাপী সফরের মাধ্যমে গতিশীল সংগঠন তৈরির প্রেক্ষাপট তৈরী করেছেন। তাঁর সাংগঠনিক তৎপরতায় এনডিএম এর আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রায় তিন হাজার ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী অংশ নেয়। এই কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে মনোনীত হয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়ার কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের মেধাবী ছাত্র ও রাজপথের লড়াকু ছাত্রনেতা মোঃ মাসুদ রানা জুয়েল।

ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে সাহসী ভূমিকার জন্য তিনি পরিচিত। এছাড়া যুগ্ম আহ্ববায়ক হিসাবে মনোনীত হয়েছেন সদ্য আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করা সোহাইল জামিল সরকার। বামধারার রাজনীতি ছেড়ে তিনি সরাসরি এনডিএম এর ছাত্র সংগঠনে যোগ দেন। এই কমিটির আরেক অন্যতম সদস্য হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মেধাবী ছাত্র মাশকুর রাতুল। ছাত্র ফেডারেশন থাকাকালীন তাঁর নেতৃত্বে ছাত্র অধিকার বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। এই কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন এসিসিএ ডিগ্রীধারী ও খুলনা মহানগর গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন এর আহ্ববায়ক তাসনিম শ্যানন।

প্রচার সম্পাদক হিসাবে আছেন তরুণ লেখিকা ও ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্রী জান্নাতুল শাহেবাজ আয়েশা, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রচার সম্পাদক হিসাবে আছেন সৃজনশীল বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতা কাজী রাহাত। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে আছেন আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র মোঃ আসিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসাবে আছে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ছাত্র মোমিনুল হক। এছাড়াও দেশব্যাপী ৮টি বিভাগের প্রতিনিধি ও ঢাকা মহানগর থানা ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিনিধিরা স্থান পেয়েছে এই কমিটিতে।

জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে আহ্ববায়ক মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, দেশব্যাপী প্রায় ২৮টি জেলায় ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রম চালু আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ বিভিন্ন নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হলভিত্তিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা বিভিন্ন আহ্ববায়ক কমিটিকে পূর্নাঙ্গ রুপ দেবার পর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করবো। স্বপ্নের দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ববি হাজ্জাজ এর জবাবদিহিতামূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যাত্রায় দেশের মেধাবী ছাত্রসমাজের অংশগ্রহন নিশ্চিত করাই এই জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির লক্ষ্য।

সংঠনের আভ্যন্তরীন কোন্দল বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মোঃ মাসুদ রানা জুয়েল বলেন ছাত্র আন্দোলন ঐক্যবদ্ধ। এনডিএম এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যারা অনুপস্থিত ছিলো এমনকিছু সুবিধাবাদী ছাত্র নামধারীদের সাথে আমাদের সংগঠনের কোন সম্পর্ক নেই। এই সংগঠন শুধুমাত্র ত্যাগী, দেশপ্রেমী, মেধাবীদের জন্য। আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানের যাত্রায় এগিয়ে যাবো, কোন শক্তিই আমাদের থামাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

https://thenewse.com/%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%83%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%89%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4/?fbclid=IwAR3I_GScfXnUd_ra4h_dPDpU1YXxsKIxzgcP7qJgQnbXHxxDTgI7nBd9KTE

Bobby Hajjaj: We cannot just say politics is dirty

Tell us a little bit about yourself – who you are, where you grew up, where you studied etc. I grew up in Dhaka, studied at Maple Leaf International School. After completing my O Levels and A Levels, I went to University of Texas at Austin in the ’90s and completed my bachelors in political science. Then I came back to Dhaka for a while. I found more opportunities abroad as a business consultant. Throughout the nineties and the early 2000s, I worked locally and internationally in finance and business development. After working for eight to nine years, I went to the Oxford University for an MBA and then did post-grad research in strategy. Finally I came back to Dhaka in 2009 for my family. At this point, I was thinking about which culture I wanted my children to grow up in. What I want to do? Where do I want to stay? Answers to all those questions are the country I belong to. So I moved back to Bangladesh permanently. Since then I have been working as a lecturer and researcher in business strategy at a private university. In 2012, I became involved in politics. What are the decisions that drove you to become a politician? To be honest, I did not plan to go into politics. In Bangladesh, becoming a politician is often a family tradition. I became interested in politics when I was studying political science. I was involved in American politics as a volunteer. Because of my family ties, I also worked with a lobbying firm for a while. I also did consultancy for political parties and campaigning. From networking to election to political party management, I gathered a lot of good experience. Because of that, a political party in Bangladesh approached me to work for them and restructure their organogram. This is how I came into politics as a special adviser to the chairman of Jatiya Party. Even before coming to politics, I always wanted to serve the nation. I always believed that development was not possible without empowering the masses. At a certain stage, I observed that politics in Bangladesh started to go downhill. Everything seemed negative and became dirty. It is not someone’s fault in particular, there were many reasons. But we cannot just say it is dirty so we want no part of it. I am not saying I can do it, but someone needs to try to clean all this dirty stuff. I am doing my part. Without politics, nothing is possible. What sort of a demographic are you trying to attract through your party? We came into politics for the country, for the nation. So we are trying to attract everyone in the country. How do you expect to fare in the next general elections? We believe we will get good response from people. But, exactly how this election will take place no one is sure. May be we will understand a year from now. What is your party’s strategy to come to power? When do you see yourself in a position of power to effect the changes you speak of? We do not believe in the power game. And we believe we will work properly, reach the people and work for them. In future people will decide if they want us to run the government or not. I absolutely believe it is possible to make the changes we speak of. Why did you not join one of the main two political parties? Do you feel the two parties are failing to represent people’s political aspirations? If we thought of any of the political parties were doing their jobs right we would not need to launch a new political party. They are not doing anything to win our trust, so you cannot join them. They even do not have any accountability or democracy within the party. It works like a private ownership or family corporation, where everyone does what the owner says. Then they should go for a job, why politics? Yes, I feel the two parties are failing to represent people’s political aspirations. People do not have any choice. If you ask anyone at random, people will say bad people are in politics. Parents do not want their children to be a politician. How would you describe the current political situation in the country? Our political situation is suffocating and a complete vacuum. We have a party running the government and an opposition which is also involved in that. So actually there is no opposition and outside that sphere politics does not exist. There is another political party which is involved in violence. So there is a political emptiness. We came in to bring politics back to the state and the people. What are your thoughts on banning Jamaat-e-Islami, or at a broader level all forms of Islamist parties, from politics? As the matter is sub-judice, we will not comment about Jamaat-e-Islami. What I understand is that we cannot avoid our cultural values for the sake of politics. Culture and religion are interconnected and one is a big part of the other. But politics based on religion is different, and we do not believe in that. You had earlier launched your career with the Jatiya party, why did you leave? It was a mutual separation with Jatiya Party. At one point we had disagreements and besides, they announced having no relationship with me. I do not want to put anybody down. But I was not happy with Jatiya Party’s activities. Whatever I did for them risking my name, the outcome was not that fruitful. But I have also learned from the experience. You also backed out of the Dhaka mayor election earlier after declaring your candidacy. Why was that? I said the election would not be fair. We faced obstacles and huge discrimination during our campaigns. We complained several times. When everything fell on deaf ears, we backed out of the election. Do you feel your family background – that you are the son of a well-known businessman – will cast a shadow over your political career? I never felt that. But everything has an impact. My father has his own separate identity, and I have mine. People can talk about his achievements, but I will keep my focus on my own work.

https://archive.dhakatribune.com/bangladesh/politics/2017/05/08/cannot-just-say-politics-dirty/?fbclid=IwAR0WySnI-ef__nPVv0pCt9YYXrHH6QTG_UpXfWpVb3kDAN_e65TLlxBh4RQ

নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রতি বছরই উত্তরবঙ্গের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় -ববি হাজ্জাজ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন- এনডিএম এর মাননীয় চেয়ারম্যান জননেতা ববি হাজ্জাজ বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রতিবছরই দেশের উত্তরবঙ্গের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে।

আজ ২৫ আগষ্ট রোজ শুক্রবার দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের সময় এনডিএম এর মাননীয় চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে দূর্গতদের অবস্থা সরজমিনে পরিদর্শন ও ত্রাণ সহযোগিতা প্রদানের উদ্দেশ্যে উত্তরবঙ্গ সফর করছেন এনডিএম চেয়ারম্যান।

এর ধারাবাহিকতায় আজ বিরামপুরে স্থানীয় এনডিএম কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে জনাব হাজ্জাজ বলেন, “স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত সরকারের অবদান আমরা সবসময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করি। তারা বৃহত্তম প্রতিবেশী দেশ হলেও কোন সরকারই তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে নাই। আমরা তিস্তার পানি পাই নাই। বর্ষা মৌসুমে ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়া হয়, তলিয়ে যায় এদেশের হাজারও ঘর-বাড়ি, ভেসে যায় ফসলি জমি। দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

বিরামপুর উপজেলা এনডিএম এর সমন্বয়কারী মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরন কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন এনডিএম এর মহাসচিব (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, গণমানুষের দল এনডিএম, আমরা আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ্।

https://thenewse.com/%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%81-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be/?fbclid=IwAR0-ZOUpgHZu9_aP7WBlQU1wTQrTHBtyuGmQJHFUADEfrbR7oEBzbTz-7WY

/ In Defense, Elections, Government, NDM, Uncategorized / By admin / Comments Off on নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রতি বছরই উত্তরবঙ্গের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় -ববি হাজ্জাজ

উন্নয়নের জোয়ারে নয়, দেশ ভাসছে বাঁধ বিপর্যয়ে: ববি হাজ্জাজ

ঢাকাঃ  জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ সা¤প্রতিক হাওর অঞ্চলসমূহে বিপর্যয়ে গভীর উদ্বেগ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, নেত্রকোনার জেলার প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে, সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলের তিন লাখ পরিবার পথে বসেছে।

সুনামগঞ্জের সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সিন্ডিকেটে নিম্নমানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে বাঁধ নির্মান কাজ করার ফলে আজ জনজীবনে ভয়াবহ দূর্যোগ নেমে এসেছে। একই অবস্থা কিশোরগঞ্জসহ দেশের অন্যান্য হাওর অঞ্চলে। এসব অঞ্চলে চরম মানবিক বিপর্যয়ই নয়, জীববৈচিত্র্য বিপন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে। এই বিপর্যয়ের ফলে সারাদেশে ইতোমধ্যে বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম।

গত ৩৫ বছরের মধ্যে এবছর এপ্রিল মাসে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হয়েছে। আমরা চট্টগ্রাম মহানগরীকে পানিতে ভাসতে দেখেছি। এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, উন্নয়নের গণতন্ত্রের মুখস্ত বুলি শুনিয়ে জনগনকে ধোঁকা দেয়া হচ্ছে, জবাবদিহিতামূলক গণতন্ত্র ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন যে সম্ভব নয় তার প্রমান ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের পিছনে প্রশাসনের গাফিলতি এবং টেন্ডার দূর্ণীতির মাধ্যমে সরকারিদলের লোকদের পকেট ভারী।

 

ববি হাজ্জাজ অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার আহŸবান জানান এবং দূর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রান সরবারহ, কৃষক, জেলে, শ্রমিকভাইদের জন্য বিশেষ প্রনোদনা এবং তাঁদের ঋণ থাকলে তা মওকুফসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানান। সিলেটে বিপর্যস্ত এলাকায় মহানগর দলীয় নেতা-কর্মীদের জনগনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন এনডিএম চেয়ারম্যান।

http://shadhinbangla24.com/bn/news/505624?fbclid=IwAR0ieWT8MJWVKbT-jssKBKa197I9vNpeyv-vt8tmvzv1q4TeMpD2ZYTyTpg

পরিবহন মালিকরা কি সরকারের উর্ধ্বে?

ঢাকাঃ রাজধানী ঢাকাতে চলমান পরিবহন সঙ্কট ও নৈরাজ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন- এনডিএম চেয়ারম্যান জনাব ববি হাজ্জাজ।

১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জনাব ববি হাজ্জাজ বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে ১৫ এপ্রিল থেকে রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বাস বন্ধ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সিটিং সার্ভিস তো বন্ধ হয়নি বরং অতিরিক্ত ভাড়ায় ডাইরেক্ট বাস সার্ভিস নামে গাদাগাদি করে যাত্রীদের বাসসেবা গ্রহণ করতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অফিসগামী যাত্রী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও নারী যাত্রীদের। সরকারের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঢাকায় কৃত্রিম বাস সঙ্কটের সংবাদও আসছে।

তাহলে প্রশ্ন জাগে, সরকারের নীতি নির্ধারকদের চেয়ে কি বাস মালিকদের ক্ষমতা বেশি। তারা কি সরকারের নীতি নির্ধারকদের উর্ধ্বে? গণ পরিবহনের নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে আমরা কখনোই সরকারকে আন্তরিক হতে দেখিনি। ঢাকার রাজপথে সিএনজি অটোরিক্সা ও ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস এখনো পুরোপুরি যাত্রী বান্ধব হয়নি।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন- এনডিএম চেয়ারম্যান জনাব ববি হাজ্জাজ অবিলম্বে যাত্রী ভোগান্তি হ্রাসে সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঢাকায় পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহŸান জানিয়েছেন।

http://shadhinbangla24.com/bn/news/503623?fbclid=IwAR21GWrG3E3Tu5K6HHQBlZXuwIN1Pi7eE7wEwtR3GlwMJUpo8SaJAYaUSQg

চমক সৃষ্টি করতে চায় ববি হাজ্জাজের এনডিএম

স্বাধীনবাংলা২৪.কম, ঢাকা : আগামী ২৪ এপ্রিল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশকে সামনে রেখে বড় ধরনের শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বনি শমসেরের বড় ছেলে ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম। এনডিএম সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী ৩২টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইতোমধ্যে গঠিত হওয়া আহব্বায়ক কমিটির সহায়তায় প্রায় দশ হাজার লোকের উপস্থিতিতে দলের ঘোষনাপত্র প্রকাশের মাধ্যমে রাজধানীতে আলোড়ন তৈরী করতে চায় এনডিএম এর নীতি নির্ধারকেরা।

যোগাযোগ করা হলে দলটির মহাসচিব (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক আব্দুল্লাহ এম. তাহের জানান, আগামী ২১ এপ্রিল আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বনানী-মহাখালী এলাকায় প্রায় এক হাজার লোকের শোভাযাত্রা বের করে চমক সৃষ্টি করতে চায় এনডিএম, এই মিছিলে দলের সর্বচ্ছ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম উচ্চ পরিষদ সদস্য ও কিংবদন্তী রকস্টার শাফিন আহমেদের নেতৃত্বে দলের উচ্চ পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্য উপস্থিত থাকবেন। তিনি আরো জানান, আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে গত দশ দিনে ঢাকার প্রায় ২২টি পয়েন্টে আনন্দ মছিলি করেছে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে। তিনি বলেন, আগামী ১৮ এপ্রিল রাত থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বর্পূণ সড়কে এনডিএম এর পোষ্টার দেখা যাবে। তিনি দাবী করনে, রাজপথে নিজেদের সরব উপস্থিতি জানান দেয়াই এনডিএম এর লক্ষ্য, নানা বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এনডিএম এর নেতা-কর্মীরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানকে সফল করতে।

এছাড়াও, কূটনৈতিক পাড়ায়ও চালানো হচ্ছে জোর তৎপরতা। দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের সাথে ইতিমধ্যে বৈঠক করেছেন জার্মানী, ফ্রান্স ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতগণ। এছাড়াও এনডিএম প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দূতাবাসের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। এনডিএম সূত্রে জানা গেছে, আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে পশ্চিমা বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রদূতগণের উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে নতুন দল হিসাবে এনডিএম এর শক্তিমত্তার বার্তা দিতে চায় দলটির সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জসহ ঢাকার নিকটবর্তী জেলাসমূহে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সফর করেছেন। এসব অঞ্চল থেকে ব্যাপক লোক সমাগমের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ের শক্তিশালী দল হিসাবে গণমানুষের আস্থা অর্জনই মূল লক্ষ্য, এমনটাই জানালেন আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান প্রস্তুত কমিটির আহব্বায়ক ও এনডিএম এর ভাইস চেয়ারম্যান এনায়েত কবির। তিনি বলেন, এর প্রথম ধাপ হিসাবে আমরা ২৪ এপ্রিল নিজেদের সক্ষমতা প্রমান করতে চাই। আমরা জানান দিতে চাই, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জন্ম হয়েছে এনডিএম এর, আমরা নিছক প্রেসক্লাব ভিত্তিক বক্তৃতা-বিবৃতির দল নয় বরং রাজপথে নিজেদের শক্ত অবস্থানের মাধ্যমে জনতার কাতারে দাঁড়াতে চাই। আগামী ২১শে এপ্রিলের শোভাযাত্রা হবে এর ড্রেস রিহার্সেল।

এনডিএম সূত্র জানায়, মূলত দেশের তরুণ সমাজের মাঝে দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতা, আন্তর্জাতিক মহলের সুপরিচিতি এবং ৫ই জানুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনের প্রাক্কালে ববি হাজ্জাজের আপোষহীন ভূমিকা নিয়ে দেশবাসীর কাছে পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতির মাঠ দখলের খেলায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যান্য দলগুলোর জায়গা নিতে চায় এনডিএম। ধর্মীয় মূল্যবোধকে নিজের অন্যতম মূলনীতি হিসাবে গ্রহন করে ইসলামিক দলগুলোকেও কাছে টানতে চায় নতুন জন্ম নেয়া দলটি।

দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিশেষ উপদেষ্টা হিসাবে রাজনীতিতে পদার্পন করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের মুখে দল থেকে বেরিয়ে আসেন এবং “স্বপ্নের দেশ” এর ব্যানারে দেশব্যাপী নাগরিক ক্ষমতায়তনের জন্য কাজ শুরু করেন। ২০১৬ এর শেষভাগে নিজের দল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নতুন ভাবে রাজণীতি শুরু করেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর সন্তান ববি হাজ্জাজ।

http://shadhinbangla24.com/bn/news/502728?fbclid=IwAR2jn6smMLy04jHtsVUD3a1z8phkt_B2Jbu9PPd2R-ghJgyiX_SZaQDztrk

বর্তমানে একটি রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে

ববি হাজ্জাজের জন্ম ঢাকার মগবাজারে। বাবা মুসা বিন শমশের। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার একটি ইংরেজি স্কুলে। এরপর ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এছাড়া ২০০৬-০৭ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। ২০০৭- ০৮ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেইন্ট এন কলেজ থেকে কৌশলগত বিদ্যার ওপর গবেষণা ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে ২০১২ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৪-২০১৫ সালে জাতীয় পার্টির মুখপাত্র ও প্রধান নির্বাচন উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে নতুনভাবে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে আগামী ২৪ এপ্রিল। তার রাজনীতি নিয়ে আজকালের খবরের সঙ্গে কথা বলেছেন ববি হাজ্জাব। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমাদের স্টাফ রিপোর্টার বাহরাম খান।

আজকালের খবর: হঠাৎ করে রাজনৈতিক দল গঠন করলেন। উদ্দেশ্য কী?
ববি হাজ্জাজ: হঠাৎ করে কিছু হয়নি। অনেক সময় ধরে কাজ করেই আমরা দল গঠনের পথে এগিয়েছি। প্রত্যেক বিভাগের দুই-তিনটি জেলায় সফর করেছি। অনেক উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত গিয়েছি। মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মনের ভাষা পড়ার চেষ্টা করেছি। মানুষ কী চায়, কেন চায় বুঝার চেষ্টা করেছি। এরপর আমরা দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি।
আজকালের খবর: আপনি নিজে একটি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নতুন দল গঠনের প্রয়োজন হলো কেন?
ববি হাজ্জাজ: আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক অনেক দূরে অবস্থান করছে। রাজনীতিকদের কাছে দেশের মানুষ যা চায় তা পায় না। আমরা সেই জায়গাটায় কাজ করতে চাই। মানুষের প্রত্যাশা এবং রাজনীতির উদ্দেশ্যের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনা করতে চাই। এর আগে আমি একটি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সেখানে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু পরিকল্পনা আমাদের ছিল। সময় অতিবাহিত হওয়ায় দেখা গেল সেগুলো ঠিকমতো কাজ করেনি। এখানে কারও দোষ আমি দেখি না। সব জায়গায় সব কিছু ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। ওই দলে কয়েক বছর কাজ করার পর কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। এরপর দলের বাইরে থেকে অন্তত বছর দেড়েক মানুষের সঙ্গে মিশে, কথা বলে বুঝতে চেষ্টা করেছি মানুষ কী চায়। তারপর আমরা দল গঠনে উদ্যেগী হয়েছি।
আজকালের খবর: বাংলাদেশে তো দুই পরিবারের বাইরে আর কোনো দল অবস্থান তৈরি করতে পারেনি।
ববি হাজ্জাজ: গত ২৭ বছর ধরে দুই পরিবারের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মধ্যে একটি অনেক পুরনো দল। আরেকটি ক্ষমতার মধ্য থেকে গড়ে ওঠা দল। আমরা দেখেছি দেশে ক্ষমতার মধ্যে থেকে দুটি দল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে একটি দলের অবস্থা এক-দেড় পা কবরে যাওয়ার অবস্থায় আছে। আরেকটি দল টিকে আছে। অর্থাৎ তারা ভালো নেই, খারাপ অবস্থায় আছে। মানুষের সামনে বিকল্প কিছু নেই, তাই টিকে আছে। কোনো দল ভালোভাবে দাঁড়ালে সেটাও পড়ে যাবে। তার মানে আমি বলছি না যে, রাতারাতি কেউ পড়ে যাবে বা কেউ উঠে যাবে। কথায় আছে- কষ্ট করলে কেষ্ঠ মিলে। যারা মাঠে নেমে সঠিক পথে কাজ করবে তাদের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা থাকবেই।
আজকালের খবর:  অনেক বড় বড় রাজনৈতিক নেতা নতুন দল গড়ে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি।
ববি হাজ্জাজ: এর আগে যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বের হয়ে নতুন দল গড়েছেন তারা তাদের মতো চেষ্টা করেছেন বা করছেন। উনাদের অনেকের সঙ্গে আমার ব্যাক্তিগত সম্পর্ক খুব ভালো। তাদের বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। যারা আগে চেষ্টা করেছেন তাদের প্রেক্ষাপট, চিন্তা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, ব্যক্তি, সময় এবং পরিস্থিতি সবই আলাদা। এখন একটা ভিন্ন প্রেক্ষাপটের চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা যারা নতুন উদ্যোগ নিচ্ছি তারা ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন সময়ে, ভিন্ন চিন্তায় কাজ করছি। সবদিক থেকে যেহেতু ভিন্নতা আছে তাই আমার প্রত্যাশা ফলটাও ভিন্ন হবে।
এছাড়া বড় দলের বাইরে যারা দল গঠন করেছেন তাদের অনেকের নৈতিক গ্রহণযোগ্যতা নেই। অনেক আগেই তারা  নৈতিক অবস্থান হারিয়ে ফেলেছেন। এরপরও অনেকে টিকে আছেন। কারণ নৈতিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এখনো কেউ দাঁড়াতে পারেনি। এদের মধ্যে অনেকের রাজনৈতিক জীবনে হয়তো জেল-মারপিটের মতো ঘটনায় ত্যাগ-তিতিক্ষা আছে। কিন্তু দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখানোর মতো বা কিছু দেওয়ার মতো পরিকল্পনা নেই। কারণ তারা কোনো একটি বড় দলে ছিলেন। কোনো কারণে মতপার্থক্য হয়েছে, তখন দল থেকে বের হয়ে নতুন দল করে আগের দলের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করেছেন। তাদের উদ্দেশ্যটা দেখেন, তাহলেই পরিষ্কার হয়ে যায়।এ কারণে বর্তমান সময়ে একটা রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে। দেড় বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কীভাবে কী নির্বাচন হবে সে বিষয়ে সবাই অন্ধাকারে। যেন কেউ কিছুই জানে না।
আজকালের খবর: নতুন দল মানে পুরনো অনেক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা শীর্ষপদে আসেন। আপনাদের দলে তেমন কারা আসছেন।
ববি হাজ্জাজ: আগমি ২৪ এপ্রিল আমরা আমাদের দলের আত্মপ্রকাশ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। তখন সবার বিষয়ে জানতে পারবেন। এখনই বলতে চাচ্ছি না।
আজকালের খবর: অন্য দল থেকে মানুষ আপনার দলের প্রতি কেন আকৃষ্ট হবেন? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বির্তকিত ব্যক্তিরা পুরনো দলে দাম না পেয়ে নতুন দলে ভিড় করেন।
ববি হাজ্জাজ: আমি আপনার সঙ্গে পুরোপুরি একমত নই। আবার এমনটা যে হচ্ছে না তাও নয়। দেখুন, অন্য একটি অবস্থান থেকে যখন কেউ নতুন জায়গায় যান তখন অনেক কিছু হিসেব করেন। আমি আপনাদের সাংবাদিকদের উদাহরণ দিয়েই বলি। প্রতিষ্ঠিত একটি পত্রিকায় কাজ করা কেউ সহজেই নতুন পত্রিকায় যেতে চাইবেন না। আবার যদি দেখেন নতুন প্রতিষ্ঠান হলেও সেটির ভালো সম্ভাবনা আছে তখন কিন্তু চিন্তা করবেন। কারণ পুরনো প্রতিষ্ঠানে আপনি যত দিনে রিপোর্টার থেকে সম্পাদকীয় পদে যাবেন ততদিনে নতুন একটি পত্রিকায় সম্পাদক পর্যন্ত যেতে পারেন।
শুধু পত্রিকা নয়, সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই এটা সত্য। তেমনি রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে যদি কেউ দেখেন আমাদের দল নতুন হলেও সামনের দিনে এর সম্ভাবনা আছে তাহলে আসবেন। এছাড়া আমার দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মীই নতুন। এর মানে এই নয় যে উনারা রাজনীতি বিমুখ। তারা রাজনীতি করতে চান। আমরা দেশব্যাপী হাজারে হাজারে পরিষ্কার ইমেজের লোক পাচ্ছি। তারা রাজনীতিতে যুক্ত হতে চান। প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ দেখেন না। সেরকম ক্লিন ইমেজের মানুষেরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
আজকালের খবর: তার মানে আপনার দলে তরুণরা প্রাধান্য পাচ্ছে?
ববি হাজ্জাজ: আমরা সবাইকে নিয়েই সামনের দিকে এগুতে চাই। বর্তমানে দেশে তরুণ বয়সী মানুষ বেশি। তাদেরকে নিয়ে আমাদের আলাদা চিন্তা আছে। তবে, আমাদের দেশে এবং বিশে^র অন্য জায়গায় তারুণ্যের ধারণায় পার্থক্য আছে। ইংল্যান্ডের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী আমার সমবয়সী। কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমার চেয়ে ছোট। এগুলো এই সময়ের উদাহরণ। আবার দেখেন অংকের ওপর প্রতি চার বছর পর পর অনূর্ধ¦ চল্লিশ বছর বয়সীদের খুবই মর্যাদপূর্ণ ‘ফিল্ডস পদক’ দেয়া হয়। এটাকে অংকের নোবেল বলা হয় । চল্লিশের আগে দেয়া হলেও তাদের কাজটা ত্রিশ বছর বয়সের আগেই করেন। আমাদের দেশে আমাকে এখনো তরুণ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ইউরোপ-আমেরিকায় তারুণ্যের সংজ্ঞায় আমার দিকে কেউ তাকাবেই না। আমাদের দেশে আমি যাদেরকে কাকা বলি তাদের মধ্যেও অনেকে তরুণ। এজন্য আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এ বিষয়টা আলাদা করা মুশকিল হয়ে যায়। আর রাজনীতির ক্ষেত্রে যদি বলেন, আমাদের দেশটাই কিন্তু তরুণ। মাত্র ৪৬ বছর বয়স। বিপ্লবের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়া দেশে অতীতে অনেক ভুল হয়েছে। আমরা সেই ভুলটা করব না।
আজকালের খবর: কেমন ধরনের ভুল?
ববি হাজ্জাজ: আমাদের স্বাধীনতা এসেছে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে। প্রত্যেকটা বিল্পবের পর একটা নেতৃত্বের পরিবর্তন আসে। সেই পরিবর্তনে তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিপ্লবের যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা বৈরী সময়ে দেশ স্বাধীনে বিশাল অবদান রেখেছেন। সে কথা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু একটা জায়গায় ঘাটতি ছিল। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে পারলেও তারা দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞ ছিলেন না। ওই জায়গায় আমরা ভুল করেছি। তাই এই পর্যায়ে নতুনদের নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ এসেছে। আমরা সবাইকে নিয়েই সামনে এগুব, যেন ভুল না হয়্।
আজকালের খবর: আপনার দলের কি কোনো জোটে যাওয়ার চিন্তা আছে?
ববি হাজ্জাজ: আমরা আমাদের নিজেদের দলের জন্য কাজ করছি। কোনো জোটে যাওয়ার জন্য দল গঠন করছি না। যদি জোটে যাওয়ার জন্য দল করতাম তাহলে প্রথম থেকে সে ধরনের কার্যক্রম দেখতেন। আমরা কারো সঙ্গে গিয়ে জোট করব তা না, আমরা আমাদের দল গড়ার কাজ করছি। আমাদের দলের বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে যদি কাজ করতে চান সেটা ভিন্ন বিষয়।
আজকালের খবর: দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ এবং ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ কেন্দ্র করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে। আপনাদেরটা কী?
ববি হাজ্জাজ: আমার মতে এই বিষয়ে কোনো দলই আসল কথাটা বলে না। তারা এই বিষয়টাকে নিয়ে রাজনীতি করেন। আমাদের দেশে আওয়ামী লীগ যা বলে সেটাই বাঙালি জাতীয়তাবাদ হিসেবে প্রচলিত। আর তাদের বিরুদ্ধে যা বলা হয় ওইটা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। কিন্তু, আমাদের দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়টা খুবই পরিষ্কার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত বাঙালি জাতীয়তাবাদ ঠিক ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাঙালি জাতীয়তাদের প্রয়োজনীয়তা শেষ গেছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ আমাদের মূল জায়গা। এটাই আমাদের অবস্থান। বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রয়োজন হয়েছিল উর্দুভাষী ও পাকিস্তানিদের বিপরীতে আমাদের অবস্থান। ’৫২ ’৬৬ ’৬৯ এবং একাত্তরে আমরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের পতাকাতলে একত্রিত হয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাওয়ার পর আমরা বাংলাদেশি। এই ভূখণ্ডে চাকমা, মারমা, বৌদ্ধ, মুসলমানসহ সবাই আমরা বাংলাদেশি।
আজকালের খবর: নতুন দল গঠনে ক্ষেত্রে অনেক সময় পর্দার আড়াল থেকে বিভিন্ন সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতার কথা আলোচনায় আসে।
ববি হাজ্জাজ: শুনুন এসব বিষয় যারা বলেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। কারণ কেউ কোনো উদ্যোগ নিলে নানান ধরনের আলোচনা-সামলোচনা হয়। আমি সেদিকে কান দিতে চাই না। আপনি হয়তো কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কথা বলছেন। আমরা কোনোভাবেই কোনো সংস্থার সংস্পর্শে নেই। বরং বড় দলগুলো ক্ষমতায় থাকার সময় নাকি গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য নিয়ে মনোনয়ন দেয়া হয়। আমার প্রশ্ন দল তাদের নিজের, নাকি গোয়েন্দা সংস্থার?
আজকালের খবর: রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের পারিবারিক অবস্থান নিয়েও মানুষের আগ্রহ থাকে। আপনার বাবাকে নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় প্রায়ই মিডিয়ায় আসে।
ববি হাজ্জাজ: সমাজে পরিচিত মানুষদের নিয়ে কিছু না কিছু বিতর্ক থাকেই। যিনি যতো বেশি পরিচিত তিনি ততো বেশি বিতর্কিত। তাদের বিষয়ে কোনো কথা উঠলে সেটা সবাই জানেন বা জানার আগ্রহ দেখান। মাদার তেরেসার বিষয়েও বিতর্ক ছিল। তিনি নাকি মানুষকে সাহায্য করার সময় মানুষকে খ্রিস্টান হওয়ার কথা বলে দিতেন। একজন মহৎ নারী, যিনি সারা জীবন শুধু মানুষকে দিয়েই গেছেন। এটা নতুন কিছু নয়। এদিক থেকে  দেখলে সব মানুষেরই এমন থাকে। কিন্তু বিখ্যাতদের বিষয়ে আলোচনাটা বেশি হয়। আমার পারিবারিক পরিচয় ছেড়ে তো আমি কিছু করতে পারি না। আমি চাই বা না চাই মানুষ এটা মেলাতে চাইবে। এক্ষেত্রে ইতিবাচক বা নেতিবাচক যাই থাকুক সেটা নিয়েই আমার কাজ করতে হবে।
আজকালের খবর: গণতন্ত্র বলে সারাজীবন রাজনীতি করলেও রাজনৈতিক দলগুলোর গঠনতন্ত্রেই গণতন্ত্রের অভাব দেখা যায়। আপনাদের দলের গঠনতন্ত্র কেমন হচ্ছে?
ববি হাজ্জাজ: বিএনপি এবং আওয়ামী লীগসহ অনেক দলের গঠণতন্ত্র আমি দেখেছি। আওয়ামী লীগেরটা তুলনামূলক বেশি গণতান্ত্রিক। কিন্তু গঠনতন্ত্রে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা নেই। ফলে এক্ষেত্রে ‘সুযোগ’ নেয়ার পথ আছে। আমাদের দলের গঠনতন্ত্রে বিশে^র গণতান্ত্রিক রীতিতে শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দলের কিছু বিষয় গ্রহণ করেছি। এর বাইরে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আশা করি বিস্তারিত ২৪ এপ্রিল জানতে পারবেন।
আজকালের খবর: অন্য রাজনৈতিক দল থেকে উল্লেখ করার মতো কেউ কি আসছেন আপনার দলে?
ববি হাজ্জাজ: এই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। এসব কথা বলার জন্যই আমরা আপনাদের সামনে ২৪ এপ্রিল হাজির হচ্ছি।
আজকালের খবর: আমাদের সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ববি হাজ্জাজ: আপনাকেও ধন্যবাদ।

ববি হাজ্জাজের দলে যোগ দিলেন শাফিন আহমেদ

ববি হাজ্জাজ নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এর সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম, উচ্চ পরিষদের (সুপিরিয়র কাউন্সিল) সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ব্যান্ড সঙ্গীতশিল্পী মোহাম্মদ শাফিন আহমেদ। শনিবার দুপুরে সংগঠনের মহাসচিব (চলতি দায়িত্বে) আবদু্লাহ মোহাম্মদ তাহের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনডিএম এ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব শিলা ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক বিজিএমইএ-এর সদস্য মোহাম্মদ বাশার, যুগ্ম বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে মেঘনা ইন্সুরেন্সের পরিচালক ও আইনজীবী জিসানখান, যুগ্ম বিভাগীয় সম্পাদক (তথ্য ও গবেষণা) হিসেবে রাদিয়া চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য হিসেবে জেডিকে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাবউদ্দিন ঢালীকে মনোনয়ন দিয়েছেন চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতেই বাংলা ট্রিবিউন শাফিন আহমেদের যোগদানের বিষয়ে প্রতিবেদন করে।

প্রতিবেদনে অভিনেত্রী তাজিন আহমেদও ববি হাজ্জাজের দলে যোগ দিচ্ছেন, এমন খবর ছিল। সংগঠনের নির্ভরযোগ্যসূত্র জানায়, আজকালের মধ্যেই তাজিন আহমেদকেও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেবেন ববি হাজ্জাজ।

https://www.kalerkantho.com/online/national/2017/02/04/459845?fbclid=IwAR3us9utBwicULkTVnOOjl9jTk5TLwm2IexEkYOFMzHSHapdXOPts5jCdIg